Logo
শিরোনাম

আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ । ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরে ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘ডিগনিটি, ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল’ (যা বাংলায় ভাষান্তর করা হয়েছে ‘মানব-মর্যাদা, স্বাধীনতা আর ন্যায়পরায়ণতা, দাঁড়াব সবাই অধিকারের সুরক্ষায়)। 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বলেন, ‘আমি আশা করি মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের আমলেই জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশ চারবার সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের এই ফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং প্রচারে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




নগদ আসলে কার! তৈয়ব না মিশুক!!

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা :

ভয়ংকর প্রতারণার মাধ্যমে গড়ে উঠা এক প্রতিষ্ঠানের নাম নগদ। মাস্তানি স্টাইলে ২০১৭ সালে জোর করে কার্যক্রমে আসে প্রতিষ্ঠানটি। শুরু থেকেই তারা প্রচার করতো ডাক বিভাগের প্রতিষ্ঠান নগদ। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে ডাক বিভাগের এক শতাংশ শেয়ারও নেই। আশ্চার্যের বিষয় হলো- এখনও প্রতিষ্ঠানটিতে ডাক বিভাগের কোনো মালিকানা প্রতিষ্ঠা হয়নি। এ নিয়ে ডাক বিভাগের তেমন আগ্রহও নেই।


নগদ এখন অনেকটা বেওয়ারিশ সম্পত্তি। একদিকে ডাক বিভাগের এক শতাংশ মালিকানাও নেই। আরেকদিকে হাল ছেড়ে পলাতক এমডি তানভীর এ মিশুকদেরও সেখানে উল্লেখযোগ্য শেয়ার নেই। নগদ মূলত ৬টি শেল কোম্পানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।যেসব প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত। যতোদূর জানা যায়, ওই ৬ শেল কোম্পানির মালিক আসলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় গং।


বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে বিগত সরকারের সময়ে  ৬৪৫ কোটি টাকার জাল ই-মানি ইস্যুর ভয়ংকর এক জালিয়াতির তথ্য উদ্ঘাটিত হয়। এছাড়াও আরও ২ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে তারা। এসব নিয়ে এখন তদন্ত শেষ পর্যায়ে। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পালা। এ সময়ে একের পর এক ঘটনা!


আওয়ামী লীগ পতনের পর বিভিন্ন জালিয়াতির বোঝা মাথায় নিয়ে নগদ পরিচালনায় যুক্ত সবাই বিদেশে পালিয়েছে। এরকম অবস্থায় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২১ আগস্ট থেকে প্রশাসক নিয়োগ করে সুশৃংখলভাবে প্রতাষ্ঠানটি পরিচালনা করে অসছিলো। এর মধ্যে গত ৭ মে আদালতের এক পাক্ষিক রায়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক আর নগদে বসতে পারছে না। পূর্ণাঙ্গ শুনানিও আর হচ্ছে না।এখন রায়ের পেছনে আসলে কি ছিলো!


বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা ছিলো প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব চাচ্ছেন না নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ থাকুক। নিজের মতো করে তিনি প্রতিষ্ঠানটি চালাতে চান।


এখন দেখা যাচ্ছে নিজের পিএস আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুইকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। আরও কতো কি ঘটেছে নিশ্চয় জানা যাবে।


এখন প্রশ্ন হলো ফয়েজ আহমদ তৈয়ব কি সরকারের হয়ে নগদ পরিচালনা করছেন! নাকি তানভীর এ মিশুকদের (আসলে সজীব ওয়াজেদ জয়) হয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠান চালাতে চান!


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




রিজার্ভ ছাড়াল ২৬ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক থাকায় বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুদ বা রিজার্ভ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী (৪ জুন) পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মোট বা গ্রোস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২০ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৬ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ‌্য জানিয়েছেন।

মুখপাত্র জানান, রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনে চাপ কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরও ডলারের দাম ১২৩ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। একই সঙ্গে এখন অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছে, যার ফলে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।

এর আগে ৬ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ ও এপ্রিলের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৮৮৩ বিলিয়ন (১৮৮ কোটি ৩০ লাখ) মার্কিন ডলার পরিশোধ করার পর মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়নে নেমে যায়। বিপিএম-৬ কমে ২০ বিলিয়নে নামে।

তারও আগে ৪ মে মোট রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ বা প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




৭২'এর সংবিধান প্রনেতারা মেন্ডেট পাইছে ৭০এর নির্বাচনের মাধ্যমে

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

৭২'এর সংবিধান প্রনেতারা মেন্ডেট পাইছে ৭০এর নির্বাচনের মাধ্যমে। তারাই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করছে, দেশ স্বাধীন করছে সংবিধান প্রণয়ন করছে।


২৪এর দালালদের ম্যান্ডেট কই?

৭২এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির ৩৪ জন সদস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: 


ড. কামাল হোসেন ছিলেন (সভাপতি)


সদস্যদের গড় বয়স ৪২ বছর

অধিকাংশই আইনের ছাত্র


কমিটির সদস্যদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন আইনের ছাত্র (ব্যারিস্টার/এলএলবি/বি.এল)। একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, একজন পদার্থ বিজ্ঞান, একজন বাংলা এবং একজন ইসলামের ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। একজন স্নাতক। দুজন সাধারণ বি.এ পাস। একজনের বিএসসি অসম্পূর্ণ। একজন চিকিৎসক। আবার যাঁরা আইনে পড়েছেন তাঁদের অনেকেরই অন্য বিষয়েও ডিগ্রি ছিল। অর্থাৎ অন্য কোনো বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর হওয়ার পরে আইনে পড়াশোনা করেছেন। রাজনীতি করতে গেলে আইন পড়তে হয়—এরকম একটি ধারণা, বিশ্বাস ও রেওয়াজ তখন ছিল।


১. সৈয়দ নজরুল ইসলাম (১৯২৫-১৯৭৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ এবং এল.এল.বি।


২. তাজউদ্দিন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও এল.এল.বি।


৩. খন্দকার মোশতাক আহমদ (১৯২০-১৯৯৬)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল (ব্যাচেলর অব ল)।


৪. এ এইচ এম কামারুজ্জামান (১৯২৩-১৯৭৫)


প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে এম.এ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল (ব্যাচেলর অব ল)।


৫. এম আবদুর রহিম (১৯২৭-২০১৬)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


৬. আবদুর রউফ (১৯৪২-২০১১)


ঢাকার মোহাম্মদপুর কলেজ থেকে বি.এ।


৭. মো. লুৎফর রহমান (১৯২৭- ২০০৮)


রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে বি.এ।


৮. আবদুল মমিন তালুকদার (১৯২৯-১৯৯৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


৯. অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (জন্ম ১৯৪৫)


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ।


১০. মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ (১৯২৭-১৯৮৭)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ. এবং এলএলবি।


১১. এম আমীর-উল ইসলাম (১৯৩৭)


বার অ্যাট ল (লিংকনস ইন)।


১২. বাদল রশীদ (১৯২৯-১৯৯৩)


বার অ্যাট ল (লিংকনস ইন)।


১৩. খন্দকার আবদুল হাফিজ (১৯৩০-২০০১)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


১৪. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনজুর (১৯৩৬-২০২০)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


১৫. অধ্যক্ষ হুমায়ুন খালিদ (১৯৩৫-২০০২)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


১৬. আছাদুজ্জামান খান (১৯১৬-১৯৯২)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ এবং বি.এল (ব্যাচেলর অব ল)।


১৭. এ কে মুশাররফ হোসেন আখন্দ (১৯১৭-১৯৯৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


১৮. শওকত আলী খান (১৯২৬-২০০৬)


বার অ্যাট ল (লিংকনস ইন)।


১৯. আবদুল মমিন (১৯২৯-২০০৪)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


২০. শামসুদ্দিন মোল্লা (১৯২১-১৯৯১)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


২১. শেখ আবদুর রহমান (১৯৩০-২০০৮)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ. এবং এলএল.বি।


২২. ফকির সাহাব উদ্দিন আহমদ (১৯২৫- ১৯৮৯)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ এবং এল.এল.বি।


২৩. আবদুল মুন্তাকীম চৌধুরী (জন্ম ১৯২৯)।


কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বি.এ এবং লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল।


২৪. অধ্যাপক খোরশেদ আলম (১৯২৯-২০০৭)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এম.এস.সি।


২৫. সিরাজুল হক (১৯২৫-২০০২)


কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে এম.এ ও এল.এল.বি।


২৬. দেওয়ান আবুল আব্বাস (১৯২৩-২০০৮)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ. এবং এল.এল.বি।


২৭. হাফেজ হাবীবুর রহমান (১৯১৫-১৯৮৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ।


২৮. মুহাম্মদ আবদুর রশিদ (১৯২৫-২০০০)


বিএসসি অসম্পূর্ণ।


২৯. সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (১৯৪৫-২০১৭)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে আইনে স্নাতক।


৩০. নুরুল ইসলাম চৌধুরী (১৯২৭-১৯৯৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ এবং এল.এল.বি।


৩১. মোহাম্মদ খালেদ (১৯২২- ২০০৩)


কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে এম.এ।


৩২. রাজিয়া বানু (১৯২৬- ১৯৯৮)


কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে বি.এ অনার্স।


৩৩. ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র মণ্ডল (১৯৩৯-২০২০)

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস।

৩৪. ড. কামাল হোসেন (জন্ম ১৯৩৭)

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুরিসপ্রুডেন্সে স্নাতক ও ব্যাচেলর অব সিভিল ল ডিগ্রি এবং লিংকনস ইনে বার-অ্যাট-ল। আন্তর্জাতিক আইনে পিএইচডি।

এই ৩৪ জনের সাথে তুলনাযোগ্য কি বর্তমানের মার্কিন নাগরিক কোরাম?


আরও খবর



করোনা বাড়ছে সতর্কতা জরুরি এখনই

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ডা. মুহাম্মাদ সিদ্দিক :

বিগত সময়ের মতো আবারও কড়া নাড়তে শুরু করেছে COVID-19. COVID-19 Omicron XBB 1.5 সাবভেরিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত সতর্কতা এবং নির্দেশিকাগুলো জানা দরকার।

এবারে করোনা ভিন্ন : COVID-19-এর একটি নতুন রূপ- Omicron XBB সাবভেরিয়েন্ট দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এ রূপটি পূর্ববর্তী রূপগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি সাধারণ লক্ষণ না দেখিয়েই ছড়িয়ে পড়ে। অতএব স্বাস্থ্য সতর্কতা অনুসরণ করা এবং মাস্ক পরা আবারও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

Omicron XBB কী এবং এটি কীভাবে আলাদা : Omicron XBB হলো একটি রিকম্বিন্যান্ট সাবভেরিয়েন্ট, যা দুটি Omicron স্ট্রেনের সংমিশ্রণে গঠিত। গবেষণা অনুসারে, এটি: পূর্ববর্তী রূপগুলোর চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কখনও কখনও স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষায় শনাক্তকরণ এড়িয়ে যায় (মিথ্যা নেতিবাচক)। ক্ল্যাসিক্যাল COVID লক্ষণ না দেখিয়ে ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে।

নতুনভাবে পর্যবেক্ষণ করা লক্ষণ : অনেক রোগীর কাশি বা জ্বরের মতো সাধারণ লক্ষণ দেখা যায় না। এর পরিবর্তে যে লক্ষণগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে রিপোর্ট করা হচ্ছে তা হলো- জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পিঠব্যথা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, হালকা থেকে মাঝারি নিউমোনিয়া। অনেক ক্ষেত্রে নাকের সোয়াব পরীক্ষা ভাইরাস শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। তবে বুকের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং পরীক্ষায় ফুসফুসের সংক্রমণ প্রকাশ করে। লক্ষণগুলো হালকা হলেও অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিপজ্জনক রূপ : বর্তমান তথ্যের ওপর ভিত্তি করে (যদিও XBB দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তবু এটি উচ্চ মৃত্যু বা বিষাক্ততার কারণ কিনা) সে সম্পর্কে এখনও কোনো বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত্য নেই। তবে, বয়স্ক ব্যক্তি, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি অথবা অন্তর্নিহিত অবস্থার (যেমন- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ) রোগীরা আরও গুরুতর জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন।

যেভাবে সুরক্ষা পাবেন : জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন (নাক ও মুখ উভয়ই ঢেকে রাখুন)। ঘনঘন হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। কমপক্ষে ১.৫ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। যদি কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার কোভিড ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ করুন (যদি সময় থাকে)।

ভুল তথ্য থেকে সাবধান : ইন্টারনেটে অতিরঞ্জিত বা বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। সঠিক তথ্যের জন্য বিশ্বস্ত উৎসের ওপর নির্ভর করুন।

সচেতনতাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঢাল : ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু অসাবধানতারও কোনো সুযোগ নেই। আপনি যদি সতর্ক থাকেন, নিয়মিত মাস্ক পরেন এবং স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করেন, তবে নিজে যেমন সুস্থ ও ভালো থাকবেন, তেমনি আপনার প্রিয়জনদের জন্যও ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারবেন।

লেখক : চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক

ওয়াশিংটন ডিসি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


আরও খবর



গজারিয়ায় সুফলভোগীদের মাঝে প্রাণী বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের নদীবিধৌত চরাঞ্চলের সমন্বিত প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফল ভোগীদের মাঝে প্রাণী বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার(২জুন) সকাল ১১ঘটিকায় উপজেলার ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই প্রাণী বিতরণ করা হয়।বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আশরাফুল আলম,উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রিগান মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল আরাফাত বিন সিদ্দিক,উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরেফিন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মল্লিক প্রমুখ।

জানা যায়,নদীবিধৌত চরাঞ্চলের সমন্বিত প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩১৫ জন সুফলভোগী খামারীদের হাঁস মুরগী ছাগল ভেড়া বিতরন করা হয়।যার মধ্যে ১৫১ জন হাঁসখামারীকে ২১টি করে হাঁস,৭২জন মুরগী খামারীকে ২৫টি করে মুরগী,৪৩জন ভেড়া খামারীকে ৩টা করে ভেড়া ও ৪৯জন ছাগল খামারী ২ টি করে ছাগল পান। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা:রিগান মোল্লা জানান,খামারীগন সবাই ২দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ পান এবং প্রাণির ঘর বানানোর জন্য ভেড়া,ছাগল খামারীরা ১১০৪০/ও হাঁস,মুরগী খামারীরা ৮৮৩৯/টাকা করে বিকাশে পান।


আরও খবর