Logo
শিরোনাম

হৃদয় ভালো রাখতে চকোলেট খান

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

এক টুকরো চকোলেট খেলেই আত্মগ্লানিতে ভুগতে থাকেন, মনে হয় এই বুঝি অপরাধ করে ফেললেন? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সেরা উপকরণ হল এই চকোলেট।

একঘেয়ে শরীরচর্চা করেও কোনো ফল মিলছে না। রোগা হওয়ার জন্য কতই না স্বার্থত্যাগ! কেউ পছন্দের বিরিয়ানি ছাড়েন, কেউ বা আবার সাধের পিৎজার মায়াও ত্যাগ করেন। কিন্তু চকোলেট? ছোট থেকে বড় চকোলেট পছন্দ করেন না এমন মানুষ হাতে গোনা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




মালয়েশিয়ায় পুলিশ স্টেশনে হামলা, নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের একটি পুলিশ স্টেশনে শুক্রবার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী এবং দুই কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অন্য একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

সূত্রের বরাতে স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী রাত আড়াইটার দিকে জোহর রাজ্যের উলু তিরাম থানায় আসেন। এ সময় দায়িত্বরত এক কনস্টেবলকে গুলি করা হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।


গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন আরেক কনস্টেবল। এরপর প্রথমে গুলিবিদ্ধ কনস্টেবলের বন্দুক দিয়ে তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।

জোহরের পুলিশ প্রধান এম কুমার বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।


ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জোহরের পুলিশ প্রধান এম কুমার। ছবি: বের্নামা নিউজ এজেন্সি
পুলিশের মহাপরিদর্শক রাজারুদ্দিন হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তিকে জেমা ইসলামিয়া (জেআই) চরমপন্থী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেআই সদস্য সন্দেহে দুই ছাত্র ও ৬২ বছর বয়সী একজনসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরিবারের সদস্য। ৬২ বছর বয়সী লোকটি তার বাবা।

জেমা ইসলামিয়া মূলত ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক একটি জঙ্গী গোষ্ঠী। তারা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

রাজারুদিন আরও বলেন, ‘আমি আমাদের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে নির্দেশ দিয়েছি জোহরের সকল জেআই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত করতে। জোহরে জেআইয়ের প্রায় ২০ জন চিহ্নিত সদস্য রয়েছে।

মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় নিহত পুলিশরা দুই বছরের কম সময় ধরে চাকরি করছেন। তারা উলু তিরাম স্টেশনের অপরাধ প্রতিরোধ টহল ইউনিটে দায়িত্বরত ছিল।

মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিম ইস্কান্দার নিহত পুলিশদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




মুক্তিযোদ্ধা ও গরীব অসহায়দের চিকিৎসায় কোনো ফি নেন না ডা. এজাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সদরুল আইনঃ

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ। 


তার নাম মনে হলেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে হাসিখুশি সাবলীল এক গুণী অভিনেতার মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


 আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবেও পরিচিত।



মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময়ই রংপুর বেতারে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করতেন, অংশ নিতেন রেডিওর নাটকে। চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনার বরাতে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান। এখন অবসর। এই অবসরে অভিনয় আর পুরোপুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. এজাজুল হক এজাজ।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমি হয়তো সবক্ষেত্রে সবার সহায়তা করতে পারি না। কারণ আমি তো সব ধরনের বিশেষজ্ঞ নই। তারপরেও যারা আমার কাছে আসেন, আমি তাদের সেই মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করি।


 এরপর তার যেন খরচ কম হয়, ওই হাসপাতালে বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আমি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ফি নিই না। কারণ তাদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের সেবা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের।



একটা হাসপাতাল তৈরি করার স্বপ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গরিব রোগীদের বিনে পয়সায় চিকিৎসা হবে। ধরেন, কথার কথা আমি যদি কোনোভাবে ৫০ কোটি টাকা পেয়ে যাই-তাহলে আমি কিন্তু কানাডা বা দুবাইয়ে বাড়ি কিনব না। এমন অভিলাষ আমার নেই। 


আমি সেই টাকা দিয়ে একটা হাসপাতাল করব। কিছুদিন আগে এক অর্থবান ভদ্রলোক এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন একটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। 


আমি বললাম আমার একটা শর্ত আছে, ওই হাসপাতালে একটা কর্নার করতে হবে যেখানে গরিব রোগীরা বিনে পয়সায়, বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। ওই ভদ্রলোক আর যোগাযোগ করেননি।


গাজীপুর চৌরাস্তায় রয়েছে এজাজ সেন্টার।সেখানে নিয়মিত রুগি দেখেন তিনি।নামমাত্র ফি নেন এই বরেন্য চিকিৎসক।তার ব্যবস্থাপত্রেও থাকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা ঔষধের নাম।অমায়িক আচরনের এই মানুষটি তার শিল্পী সত্ত্বা দিয়েই শুধু নয় চিকিৎসক হিসেবেও নাম কুড়িয়েছেন গাজীপুরসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত জনপদে।




আরও খবর



দুই সিনেমার আসছেন নিশো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

জিটাল ডেস্ক :নির্মাতা রায়হান রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছেন অভিনেতা আফরান নিশোর। 

বেশকিছুদিন বিরতির পর এবার পরপর দুই সিনেমা নিয়ে পর্দায় ফিরছেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। দুটি সিনেমাই তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। 

সম্প্রতি সিনেমা দুটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছে।

এদিকে গণমাধ্যম অনুযায়ী জানা যায়, আফরান নিশো নতুন দুটি সিনেমা পরিচালনা করছে রায়হান রাফি ও ভিকি জাহেদ। রাফি পরিচালিত নতুন এই সিনেমার নাম ‘অসিয়ত’; যেটি ২০২৫ সালের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে। দ্রুতই সিনেমাটির শুট শুরু হতে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, ভিকি জাহেদ যে সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সিনেমাটির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে ছোট পর্দার আলোচিত এই নির্মাতার। 

নতুন দুই সিনেমা প্রসঙ্গে আফরান নিশোর ভাষ্য, ‘যে কোনো সৃষ্টিশীল কাজের সাফল্যের জন্য সময় খুবই প্রয়োজন। সিনেমার অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে সব ক্ষেত্রের সঠিক সমন্বয়। 

সমন্বয় যত ভালো হবে, সিনেমা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যায়। সময় দেওয়া আর নেওয়ার মাঝেই ভালো সিনেমা। হারিয়ে থাকা যেমন নিখোঁজ সংবাদের আভাস দেয়, তেমনি খুঁজে পাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। 

অনেক নিখোঁজের মাঝে আমি খোঁজ পেয়েছি এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্টের। তারা আমার সঙ্গে দুটি সিনেমার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তারা আমাকে ও আমি তাদেরকে খুঁজে পেয়েছি, আমি আনন্দিত।’

এ ব্যাপারে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আফরান নিশোর বড়পর্দায় ফিরে আসা নিশ্চয়ই এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের জন্য রোমাঞ্চকর একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে। 

আমাদের পরবর্তী সিনেমাগুলোয় অভিনয়ে যে কারিশমা দেখাবেন তিনি, সেসব দর্শকের জন্য উন্মোচনের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।


আরও খবর



রণক্ষেত্র রাফায় মুখোমুখি ইসরায়েল- হামাস

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ উপেক্ষা করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবার (১০ মে) রাফাহর পূর্বাঞ্চল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। পূর্ব ও পশ্চিম রাফাহকে পৃথককারী মাঝামাঝি সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দখলদার বাহিনী। তাদের প্রতিহত করতে এবার সর্বাত্মক লড়াইয়ে নেমেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসও।

ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, গাজার মাটি থেকে হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে হলে তাদের রাফাহতে অভিযান চালানো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। আর হামাসও বলেছে, তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধে পরাজিত করবে। এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের শেষ চেষ্টাও ভেস্তে গেছে। হামাসের শেষ প্রস্তাবও মেনে নেয়নি ইসরায়েল।

রাফাহর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রায় সারাদিন রাফাহর পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে হামাস। রাফাহর সমরে হামাসের সঙ্গ দিচ্ছে ইরাক-সিরিয়াভিত্তিক ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারাও।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে একটি মসজিদের কাছে একাধিক ইসরায়েলি ট্যাংকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা। এতে বোঝা যাচ্ছে, রাফাহ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক।

এদিকে ইসরায়েলের এই রাফাহ অভিযানের কারণে পুরো গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম কয়েক দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বেপরোয়া এ অভিযান থেকে সরে আসার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে বিগত কয়েকদিনে বেশ কয়েক দফায় কঠোরভাবে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অন্য ঘনিষ্ঠ মিত্ররা। কিন্তু তাতেও অনড় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু; ঘোষণা দিয়েছেন, মিত্ররা পাশে না দাঁড়ালে প্রয়োজনে একাই রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাবে তার বাহিনী।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদেরকে যদি একাই দাঁড়াতে হয়, তাহলে আমরা একাই দাঁড়াব। প্রয়োজনে আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমরা জানি আমাদের আঙুলের নখের চেয়ে অনেক বেশি কিছু আছে। তার কথামতো ইতোমধ্যে রাফাহতে অভিযান এগিয়ে নেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছে দখলদার রাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।

টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা দশ লাখেরও বেশি মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ছিল এ রাফাহ শহর। কিন্তু যুদ্ধের এ দামামায় শেষ আশ্রয়স্থলটুকু ছেড়ে আবারও অনিশ্চিত গন্তব্যে ছুটতে শুরু করেছেন অসহায় ফিলিস্তিনিরা।

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, এরই মধ্যে ত্রাণের মজুদ ও সরবরাহ কমে এসেছে। সেইসঙ্গে জ্বালানি ও খাদ্যের মজুদও কমে আসছে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী হামিশ ইয়াং বলেছেন, পাঁচদিন ধরে কোনো জ্বালানি ও মানবিক সাহায্য গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেনি এবং আমরা বন্দুকের নলের মুখে বসবাস করছি।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ থেকে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, হাজারে হাজারে ফিলিস্তিনিরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার (১০ মে) ইউএনআরডব্লিউএ এক্সে এক পোস্টে বলেছে, রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ জোরদার হওয়ার পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তার খোঁজে লাখো মানুষ পালিয়ে গেলেও তাদের জন্য প্রকৃতপক্ষে কোথাও নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই।

হামিশ ইয়ং আরও বলেন, রাফাহর লোকজন খুব ক্লান্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধের ফলে গাজার বাসিন্দাদের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে হেঁটে হেঁটে স্থানান্তরিত হওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি তাদের শরীরে নেই। হেঁটে যাওয়া ছাড়া বেশিরভাগের ক্ষেত্রে আর কোনো উপায়ও নেই। এদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে, রয়েছে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে পঙ্গুত্ব বরণ করা এবং অপুষ্টিতে ভোগা অসংখ্য মানুষ।

রাফাহর পশ্চিমে তেল আল-সুলতানের বাসিন্দা আবু হাসান রয়টার্সকে বলেন, আমাদের জন্য আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই, কারণ সব জায়গায় ট্যাংকের গোলা এসে পড়ছে। আমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু আমার পরিবারের জন্য একটি তাঁবু কিনতে আমি দুই হাজার শেকেল জোগাড় করতে পারছি না।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো ইতোমধ্যে দক্ষিণ থেকে পূর্ব রাফাহ বন্ধ করে দিয়েছে, গাজা ও মিশরের মধ্যে একমাত্র ক্রসিংটিও দখল করে বন্ধ করে দিয়েছে তারা। শুক্রবার সালাহউদ্দিন রোডের দিকে গাজা উপত্যকাকে ভাগ করে রেড জোন ঘেরাও সম্পন্ন করেছে দখলদার বাহিনী। ফলে রাফাহ থেকে বাসিন্দাদের বের হয়ে যাওয়ার প্রায় সব পথ আক্ষরিক অর্থে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, হামাস নির্মূলের নামে গত সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সব বাসিন্দাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।-বলেন প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যেসব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মাত্র নয় মাসের তিনি আমাদের একটি সংবিধান দেন। সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা কী? সেটা কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে যেমন সরকারি প্রতিষ্ঠার থাকবে, সমবায় হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের জীবনমান উন্নত করার এটাই ছিল জাতির পিতা লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আন্দোলনের নামে বাস ট্রাকে আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি।

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলেও ছাড় নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।


আরও খবর