রোকসানা মনোয়ার : পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়তে
শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্য
দিয়ে শুরু হয় ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ছয়টার পর আন্তঃনগর
ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। এরপর নীলসাগর এক্সপ্রেস ঘরমুখো
মানুষকে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়।
কমলাপুর
রেলস্টেশনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে
পড়ার মতো। টিকিট ছাড়া কেউ যাতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য স্টেশনে ঢোকার প্রবেশ পথেই
বাঁশ দিয়ে বেরিকেড দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে আলাদাভাবে চেক করা হচ্ছে।
যাদের টিকিট আছে, তাদেরকে দেয়া হচ্ছে স্টেশনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) বলেন, ঈদযাত্রায় টিকিট ছাড়া কাউকে
স্টেশনে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি রেলের নির্দেশনা
পালনের। যার টিকিট তাকেই ভ্রমণ করতে হবে।
১৪
জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জুন দেয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেয়া হয় ২৫
জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হয় ১৮
জুন।
২২
জুন থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হয়। সেই হিসেবে ২২ জুন
দেয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন
৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেয়া হবে ফিরতি ট্রেনের টিকিট।
বিগত
বছরের মতো এবারও ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫
শতাংশ। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট
পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা
যাবে।
ঈদ
যাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা
পরিবর্তন আনা হয়। অনলাইনে দুই ভাগে দেয়া হয় অগ্রিম টিকিট। পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা
সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা
থেকে অনলাইনে বিক্রি হয় পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট।